আমরা এলাম
কোথা থেকে?
স্টিফেন হকিং এর দেয়া “বিগ
ব্যাং” তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এখন থেকে প্রায় ১৩৭৫ কোটি বছর আগে
। পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া এখন পর্যন্ত
সবচেয়ে পুরোনো পাথরের বয়স ৪৫৪ কোটি বছর। এই বিশাল সংখ্যার দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে
পারছি যে মহাবিশ্ব, পৃথিবী, প্রাণ, প্রাণি এক দিনে তৈরি হয় নি। প্রাকৃতিক ভাবে
পৃথিবীর অজৈব উপাদান থেকে প্রাণের প্রথম সোপন অ্যামিনো এসিড তৈরির পদ্ধতিকে বলা হয়
অ্যাবায়োজেনেসিস(Abiogenesis )। আমরা কি কেউ কল্পনা করতে পারি আজ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে (যেখানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু
মাত্র ৬৫ বছর)এই ঊষর ধরণীতে কিভাবে প্রথম প্রাণের স্পন্দন জেগে উঠেছিল? আমরা
কৌতুহলী জীব তাই আমরা জানতে চাই “আমরা
কোথা থেকে এলাম?” লাখো-কোটি বছরের বিবর্তনের মধ্য দিয়েই ছোট একটি প্রাণস্পন্দন আজ
পূর্ণতা পেয়েছে মনুষ্যত্বে। কোথা থেকে আমরা এলাম এই প্রশ্নের উত্তর সত্যিই কঠিন
তবু এর উত্তর অনেক খানি আমরা জেনেছি দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে । নিচে তা ধারাবাহিক
ভাবে খুব সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত ভাবে লেখার
আশা রইল।
১। মানুষ হবার আগে-
প্রথম প্রাণের আবির্ভাব (৪০০ কোটি বছর আগে)
↓
আদি কোষ (
Prokaryotic cell) এর উদ্ভব (৩৯০ কোটি বছর আগে)
↓
প্রথম অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল প্রাণের আগমন (২৫০ কোটি বছর আগে)
↓
প্রকৃত কোষের উদ্ভব (
Eukaryotic cell) (২১০কোটি বছর আগে)
↓
যৌন প্রজননে সক্ষমতা লাভ করে (১২০কোটি বছর আগে)
↓
আদি বহুকোষী প্রাণির আগমন (৯০কোটি বছর আগে)
↓
চলত শক্তি সম্পন্ন প্রাণের আবির্ভাব (৫৮ কোটি বছর আগে)
↓
খুব ছোট মস্তিষ্কের প্রাণির আবির্ভাব ( ৫৫কোটি বছর আগে)
↓
হৃদপিন্ড যুক্ত প্রাণির উদ্ভব (৫৪কোটি বছর আগে)
↓
আদি সরল মেরুদন্ডী প্রাণির আগমন (৫৩ কোটি বছর আগে)
↓
চোয়াল যুক্ত প্রাণি ( ৫০.৫কোটি বছর আগে)
↓
পা এবং পাখনা যুক্ত মাছের রাজত্ব
(৪৮-৩৬.৫ কোটি বছর আগে)
↓
ধীরে
ধীরে মাছেরা ডাঙার দিকে উঠে আসতে থাকে।
প্রথম সরীসৃপের উদ্ভব ( ৩০ কোটি বছর আগে)
↓
Phthinosuchus,
an early Therapsid
স্তন্যপায়ীদের পূর্ব পুরুষ (২৫.৬ কোটি বছর আগে)
↓
প্রথম সম্পূর্ণ স্তন্যপায়ীর উদ্ভব হয় (২২ কোটি বছর আগে)
↓
জিনগত ভাবে মানুষ এবং ইঁদুরের একই পূর্বপুরুষের আগমন (১০ কোটি বছর
আগে)
↓
স্তন্যপায়ী বৃক্ষচারী,নিশাচর, শুকনো নাক-ভেজানাকের স্তন্যপায়ী
(৬.৫-৬.৮কোটি বছর আগে)
↓
বর্তমান বানরের প্রথম পূর্বপুরুষ (৩ কোটি বছর আগে)
↓
লেজ বিহীন বানর, এপস (২.৫ কোটি বছর আগে)
↓
গিবন বানরের পূর্ব পুরুষ (১-১.৫ কোটি বছর আগে)
২। মানুষ হবার লড়াই-
মানুষ এবং এপসদের সাধারণ (Common) পূর্বপুরুষের আবির্ভাব (১.৩ কোটি বছর আগে)
↓
গরিলা এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ (১ কোটি বছর আগে)
↓
শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষের উদ্ভব (৭০লক্ষ বছর
আগে)
৩। মানুষ হবার পথে আরো এক
ধাপ-
সময়ের সাথে মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধির চিত্র
প্রথম বড় মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রাণি Ardipithecus ramidus এর উদ্ভব(মানুষের
মস্তিষ্কের ৫ম প্রাচীন স্তর; ৩০০-৩৫০ঘন সে.মি. এবং যাদের পা হাঁটার উপযুক্ত হয়ে
তৈরি হচ্ছিল) হয় এখন থেকে ৪৪ লক্ষ বছর আগে।
↓
Australopithecus
afarensis এর
উদ্ভব (যাদের মস্তিষ্ক ৩৮০-৪৩০ ঘন সে.মি., আধুনিক মানুষের চেয়ে শারিরীক আকারে বড়;
গর্ভাবস্হায়ও হাঁটতে পারত) ৩৬লক্ষ বছর আগে।
↓
Australopithecines এর আগমন ৩০লক্ষ বছর
পূর্বে। যারা সম্পূর্ণ দ্বিপদী। দেহে পশম অনেক কম ছিল।
মানুষের সাথে
অন্যান্য বানর জাতীয় প্রাণির অস্থির গঠনের তুলনমূলক চিত্র
৪। পশুর রাজ্য
ছেড়ে এলাম-
Homo habilis এর আবির্ভাব ঘটে ২৫
লক্ষ বছর পূর্বে। সর্বপ্রথম পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শেখে ।
↓
A reconstruction of Homo
erectus
Homo erectus এর পৃথিবীতে আগমন
ঘটে ১৮ লক্ষ বছর আগে। যাদের মস্তিষ্ক ছিল মানুষের তুলনায় ৭৪%। মানুষের সাথে
বিস্ময়কর মিল। হেঁটে অনেক দূর যেতে পারে, দেহে লোম কম, ঢালু কপাল যুক্ত।
↓
Homo
antecessor এর
উদ্ভব হয় ১২ লক্ষ বছর আগে। যাদের প্রায় ২০০০০-২৫০০০ জিনের সাথে মানুষের জিনের মিল
রয়েছে। এই প্রজাতিটি আধুনিক মানুষ এবং নিয়ার্ডাথাল মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ।
↓
A reconstruction of Homo heidelbergensis
Homo
heidelbergenesis দের
দেখা যেত ৬ লক্ষ বছর আগে। মানুষের মস্তিষ্কের আকারের তুলনায় ৯৩%।
↓
Homo sapiens sapiens
Homo sapiens
sapiens এর
উদ্ভব হয় এখন থেকে ২ লক্ষ বছর আগে। যা আধুনিক মানুষের (fossil evidence )
জীবশ্মের সাক্ষ্য বা প্রমাণ
।
↓
Mitochondrial
Eve ১.৫ লক্ষ বছর আগের পূর্ব আফ্রিকায় দেখা যায়। এদের
মাইটোকন্ড্রিয়ার ডি.এন.এর সাথে পৃথিবীর সব মানুষের মাইটোকন্ড্রিয়ার ডি.এন.এ.-র মিল
রয়েছে।
↓
Y-chromosomal
Adam এর দেখা মেলে। যার Y-chromosome
–এর সাথে বর্তমান পৃথিবীর সব পুরুষের
Y-chromosome এর
মিল রয়েছে। ১.৪২লক্ষ
থেকে ৬০হাজার বছর আগে এদের দেখা পাওয়া যায়।
৫। মানুষ হিসেবে নতুন লড়াই-
Ø
এখন থেকে প্রায় ৬০ হাজার
বছর আগে মানুষ তাদের প্রথম জন্মস্থান আফ্রিকা থেকে বের হয়ে আসে ( migration)
এবং পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে।
Ø
৫০ হাজার বছর আগে মানুষ
দক্ষিণ এশিয়ায় এসে পৌঁছে।
Ø
৪০ হাজার বছর আগে মানুষ
অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে পৌঁছে। যাদের Cro-Magnon
বলা হয়।
Ø
১২ হাজার বছর আগে মানুষ
আমেরিকা গিয়ে পৌঁছে ইউরোপিয়দের চামড়া উজ্জল হতে থাকে এবং Homo sapiens ব্যতীত Homo গণ
ভুক্ত অন্যান্য সব প্রজাতি বিলুপ্ত হয়।
Ø
৬ হাজার বছর আগে মানুষ
প্রথম (সুমেরীয়, মেসোপটেমিয়া) সভ্যতার পত্তন করে।
তাই আমরা বলতে পারি সব
প্রাণিরই উৎপত্তি স্থল একই। তবে নির্দিষ্ট সময়ে এসে এরা বিভক্ত হয়ে গেছে। তবুও সব
প্রাণির চেয়ে আমরা নিজেদের আলদা এবং উন্নত দাবি করতেই পারি। কারণ প্রকৃতি আমাদের
দিয়েছে মনুষ্যত্ব যা আর অন্য কোন প্রাণির নেই। তাই মানুষ হিসেবে অন্যান্য প্রাণিকে
আমরা হেলা করতে পারি না।
ওদেরকে রক্ষা করার এবং ভালোবাসার
দায়িত্ব আমাদেরই।
আমরা এলাম
কোথা থেকে?
স্টিফেন হকিং এর দেয়া “বিগ
ব্যাং” তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এখন থেকে প্রায় ১৩৭৫ কোটি বছর আগে
। পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া এখন পর্যন্ত
সবচেয়ে পুরোনো পাথরের বয়স ৪৫৪ কোটি বছর। এই বিশাল সংখ্যার দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে
পারছি যে মহাবিশ্ব, পৃথিবী, প্রাণ, প্রাণি এক দিনে তৈরি হয় নি। প্রাকৃতিক ভাবে
পৃথিবীর অজৈব উপাদান থেকে প্রাণের প্রথম সোপন অ্যামিনো এসিড তৈরির পদ্ধতিকে বলা হয়
অ্যাবায়োজেনেসিস(Abiogenesis )। আমরা কি কেউ কল্পনা করতে পারি আজ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে (যেখানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু
মাত্র ৬৫ বছর)এই ঊষর ধরণীতে কিভাবে প্রথম প্রাণের স্পন্দন জেগে উঠেছিল? আমরা
কৌতুহলী জীব তাই আমরা জানতে চাই “আমরা
কোথা থেকে এলাম?” লাখো-কোটি বছরের বিবর্তনের মধ্য দিয়েই ছোট একটি প্রাণস্পন্দন আজ
পূর্ণতা পেয়েছে মনুষ্যত্বে। কোথা থেকে আমরা এলাম এই প্রশ্নের উত্তর সত্যিই কঠিন
তবু এর উত্তর অনেক খানি আমরা জেনেছি দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে । নিচে তা ধারাবাহিক
ভাবে খুব সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত ভাবে লেখার
আশা রইল।
১। মানুষ হবার আগে-
প্রথম প্রাণের আবির্ভাব (৪০০ কোটি বছর আগে)
↓
আদি কোষ (
Prokaryotic cell) এর উদ্ভব (৩৯০ কোটি বছর আগে)
↓
প্রথম অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল প্রাণের আগমন (২৫০ কোটি বছর আগে)
↓
প্রকৃত কোষের উদ্ভব (
Eukaryotic cell) (২১০কোটি বছর আগে)
↓
যৌন প্রজননে সক্ষমতা লাভ করে (১২০কোটি বছর আগে)
↓
আদি বহুকোষী প্রাণির আগমন (৯০কোটি বছর আগে)
↓
চলত শক্তি সম্পন্ন প্রাণের আবির্ভাব (৫৮ কোটি বছর আগে)
↓
খুব ছোট মস্তিষ্কের প্রাণির আবির্ভাব ( ৫৫কোটি বছর আগে)
↓
হৃদপিন্ড যুক্ত প্রাণির উদ্ভব (৫৪কোটি বছর আগে)
↓
আদি সরল মেরুদন্ডী প্রাণির আগমন (৫৩ কোটি বছর আগে)
↓
চোয়াল যুক্ত প্রাণি ( ৫০.৫কোটি বছর আগে)
↓
পা এবং পাখনা যুক্ত মাছের রাজত্ব
(৪৮-৩৬.৫ কোটি বছর আগে)
↓
ধীরে
ধীরে মাছেরা ডাঙার দিকে উঠে আসতে থাকে।
প্রথম সরীসৃপের উদ্ভব ( ৩০ কোটি বছর আগে)
↓
Phthinosuchus,
an early Therapsid
স্তন্যপায়ীদের পূর্ব পুরুষ (২৫.৬ কোটি বছর আগে)
↓
প্রথম সম্পূর্ণ স্তন্যপায়ীর উদ্ভব হয় (২২ কোটি বছর আগে)
↓
জিনগত ভাবে মানুষ এবং ইঁদুরের একই পূর্বপুরুষের আগমন (১০ কোটি বছর
আগে)
↓
স্তন্যপায়ী বৃক্ষচারী,নিশাচর, শুকনো নাক-ভেজানাকের স্তন্যপায়ী
(৬.৫-৬.৮কোটি বছর আগে)
↓
বর্তমান বানরের প্রথম পূর্বপুরুষ (৩ কোটি বছর আগে)
↓
লেজ বিহীন বানর, এপস (২.৫ কোটি বছর আগে)
↓
গিবন বানরের পূর্ব পুরুষ (১-১.৫ কোটি বছর আগে)
২। মানুষ হবার লড়াই-
মানুষ এবং এপসদের সাধারণ (Common) পূর্বপুরুষের আবির্ভাব (১.৩ কোটি বছর আগে)
↓
গরিলা এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ (১ কোটি বছর আগে)
↓
শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষের উদ্ভব (৭০লক্ষ বছর
আগে)
৩। মানুষ হবার পথে আরো এক
ধাপ-
সময়ের সাথে মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধির চিত্র
প্রথম বড় মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রাণি Ardipithecus ramidus এর উদ্ভব(মানুষের
মস্তিষ্কের ৫ম প্রাচীন স্তর; ৩০০-৩৫০ঘন সে.মি. এবং যাদের পা হাঁটার উপযুক্ত হয়ে
তৈরি হচ্ছিল) হয় এখন থেকে ৪৪ লক্ষ বছর আগে।
↓
Australopithecus
afarensis এর
উদ্ভব (যাদের মস্তিষ্ক ৩৮০-৪৩০ ঘন সে.মি., আধুনিক মানুষের চেয়ে শারিরীক আকারে বড়;
গর্ভাবস্হায়ও হাঁটতে পারত) ৩৬লক্ষ বছর আগে।
↓
Australopithecines এর আগমন ৩০লক্ষ বছর
পূর্বে। যারা সম্পূর্ণ দ্বিপদী। দেহে পশম অনেক কম ছিল।
মানুষের সাথে
অন্যান্য বানর জাতীয় প্রাণির অস্থির গঠনের তুলনমূলক চিত্র
৪। পশুর রাজ্য
ছেড়ে এলাম-
Homo habilis এর আবির্ভাব ঘটে ২৫
লক্ষ বছর পূর্বে। সর্বপ্রথম পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শেখে ।
↓
A reconstruction of Homo
erectus
Homo erectus এর পৃথিবীতে আগমন
ঘটে ১৮ লক্ষ বছর আগে। যাদের মস্তিষ্ক ছিল মানুষের তুলনায় ৭৪%। মানুষের সাথে
বিস্ময়কর মিল। হেঁটে অনেক দূর যেতে পারে, দেহে লোম কম, ঢালু কপাল যুক্ত।
↓
Homo
antecessor এর
উদ্ভব হয় ১২ লক্ষ বছর আগে। যাদের প্রায় ২০০০০-২৫০০০ জিনের সাথে মানুষের জিনের মিল
রয়েছে। এই প্রজাতিটি আধুনিক মানুষ এবং নিয়ার্ডাথাল মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ।
↓
A reconstruction of Homo heidelbergensis
Homo
heidelbergenesis দের
দেখা যেত ৬ লক্ষ বছর আগে। মানুষের মস্তিষ্কের আকারের তুলনায় ৯৩%।
↓
Homo sapiens sapiens
Homo sapiens
sapiens এর
উদ্ভব হয় এখন থেকে ২ লক্ষ বছর আগে। যা আধুনিক মানুষের (fossil evidence )
জীবশ্মের সাক্ষ্য বা প্রমাণ
।
↓
Mitochondrial
Eve ১.৫ লক্ষ বছর আগের পূর্ব আফ্রিকায় দেখা যায়। এদের
মাইটোকন্ড্রিয়ার ডি.এন.এর সাথে পৃথিবীর সব মানুষের মাইটোকন্ড্রিয়ার ডি.এন.এ.-র মিল
রয়েছে।
↓
Y-chromosomal
Adam এর দেখা মেলে। যার Y-chromosome
–এর সাথে বর্তমান পৃথিবীর সব পুরুষের
Y-chromosome এর
মিল রয়েছে। ১.৪২লক্ষ
থেকে ৬০হাজার বছর আগে এদের দেখা পাওয়া যায়।
৫। মানুষ হিসেবে নতুন লড়াই-
Ø
এখন থেকে প্রায় ৬০ হাজার
বছর আগে মানুষ তাদের প্রথম জন্মস্থান আফ্রিকা থেকে বের হয়ে আসে ( migration)
এবং পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে।
Ø
৫০ হাজার বছর আগে মানুষ
দক্ষিণ এশিয়ায় এসে পৌঁছে।
Ø
৪০ হাজার বছর আগে মানুষ
অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে পৌঁছে। যাদের Cro-Magnon
বলা হয়।
Ø
১২ হাজার বছর আগে মানুষ
আমেরিকা গিয়ে পৌঁছে ইউরোপিয়দের চামড়া উজ্জল হতে থাকে এবং Homo sapiens ব্যতীত Homo গণ
ভুক্ত অন্যান্য সব প্রজাতি বিলুপ্ত হয়।
Ø
৬ হাজার বছর আগে মানুষ
প্রথম (সুমেরীয়, মেসোপটেমিয়া) সভ্যতার পত্তন করে।
তাই আমরা বলতে পারি সব
প্রাণিরই উৎপত্তি স্থল একই। তবে নির্দিষ্ট সময়ে এসে এরা বিভক্ত হয়ে গেছে। তবুও সব
প্রাণির চেয়ে আমরা নিজেদের আলদা এবং উন্নত দাবি করতেই পারি। কারণ প্রকৃতি আমাদের
দিয়েছে মনুষ্যত্ব যা আর অন্য কোন প্রাণির নেই। তাই মানুষ হিসেবে অন্যান্য প্রাণিকে
আমরা হেলা করতে পারি না।
ওদেরকে রক্ষা করার এবং ভালোবাসার
দায়িত্ব আমাদেরই।
আমরা এলাম
কোথা থেকে?
স্টিফেন হকিং এর দেয়া “বিগ
ব্যাং” তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এখন থেকে প্রায় ১৩৭৫ কোটি বছর আগে
। পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া এখন পর্যন্ত
সবচেয়ে পুরোনো পাথরের বয়স ৪৫৪ কোটি বছর। এই বিশাল সংখ্যার দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে
পারছি যে মহাবিশ্ব, পৃথিবী, প্রাণ, প্রাণি এক দিনে তৈরি হয় নি। প্রাকৃতিক ভাবে
পৃথিবীর অজৈব উপাদান থেকে প্রাণের প্রথম সোপন অ্যামিনো এসিড তৈরির পদ্ধতিকে বলা হয়
অ্যাবায়োজেনেসিস(Abiogenesis )। আমরা কি কেউ কল্পনা করতে পারি আজ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে (যেখানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু
মাত্র ৬৫ বছর)এই ঊষর ধরণীতে কিভাবে প্রথম প্রাণের স্পন্দন জেগে উঠেছিল? আমরা
কৌতুহলী জীব তাই আমরা জানতে চাই “আমরা
কোথা থেকে এলাম?” লাখো-কোটি বছরের বিবর্তনের মধ্য দিয়েই ছোট একটি প্রাণস্পন্দন আজ
পূর্ণতা পেয়েছে মনুষ্যত্বে। কোথা থেকে আমরা এলাম এই প্রশ্নের উত্তর সত্যিই কঠিন
তবু এর উত্তর অনেক খানি আমরা জেনেছি দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে । নিচে তা ধারাবাহিক
ভাবে খুব সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত ভাবে লেখার
আশা রইল।
১। মানুষ হবার আগে-
প্রথম প্রাণের আবির্ভাব (৪০০ কোটি বছর আগে)
↓
আদি কোষ (
Prokaryotic cell) এর উদ্ভব (৩৯০ কোটি বছর আগে)
↓
প্রথম অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল প্রাণের আগমন (২৫০ কোটি বছর আগে)
↓
প্রকৃত কোষের উদ্ভব (
Eukaryotic cell) (২১০কোটি বছর আগে)
↓
যৌন প্রজননে সক্ষমতা লাভ করে (১২০কোটি বছর আগে)
↓
আদি বহুকোষী প্রাণির আগমন (৯০কোটি বছর আগে)
↓
চলত শক্তি সম্পন্ন প্রাণের আবির্ভাব (৫৮ কোটি বছর আগে)
↓
খুব ছোট মস্তিষ্কের প্রাণির আবির্ভাব ( ৫৫কোটি বছর আগে)
↓
হৃদপিন্ড যুক্ত প্রাণির উদ্ভব (৫৪কোটি বছর আগে)
↓
আদি সরল মেরুদন্ডী প্রাণির আগমন (৫৩ কোটি বছর আগে)
↓
চোয়াল যুক্ত প্রাণি ( ৫০.৫কোটি বছর আগে)
↓
পা এবং পাখনা যুক্ত মাছের রাজত্ব
(৪৮-৩৬.৫ কোটি বছর আগে)
↓
ধীরে
ধীরে মাছেরা ডাঙার দিকে উঠে আসতে থাকে।
প্রথম সরীসৃপের উদ্ভব ( ৩০ কোটি বছর আগে)
↓
Phthinosuchus,
an early Therapsid
স্তন্যপায়ীদের পূর্ব পুরুষ (২৫.৬ কোটি বছর আগে)
↓
প্রথম সম্পূর্ণ স্তন্যপায়ীর উদ্ভব হয় (২২ কোটি বছর আগে)
↓
জিনগত ভাবে মানুষ এবং ইঁদুরের একই পূর্বপুরুষের আগমন (১০ কোটি বছর
আগে)
↓
স্তন্যপায়ী বৃক্ষচারী,নিশাচর, শুকনো নাক-ভেজানাকের স্তন্যপায়ী
(৬.৫-৬.৮কোটি বছর আগে)
↓
বর্তমান বানরের প্রথম পূর্বপুরুষ (৩ কোটি বছর আগে)
↓
লেজ বিহীন বানর, এপস (২.৫ কোটি বছর আগে)
↓
গিবন বানরের পূর্ব পুরুষ (১-১.৫ কোটি বছর আগে)
২। মানুষ হবার লড়াই-
মানুষ এবং এপসদের সাধারণ (Common) পূর্বপুরুষের আবির্ভাব (১.৩ কোটি বছর আগে)
↓
গরিলা এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ (১ কোটি বছর আগে)
↓
শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষের উদ্ভব (৭০লক্ষ বছর
আগে)
৩। মানুষ হবার পথে আরো এক
ধাপ-
সময়ের সাথে মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধির চিত্র
প্রথম বড় মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রাণি Ardipithecus ramidus এর উদ্ভব(মানুষের
মস্তিষ্কের ৫ম প্রাচীন স্তর; ৩০০-৩৫০ঘন সে.মি. এবং যাদের পা হাঁটার উপযুক্ত হয়ে
তৈরি হচ্ছিল) হয় এখন থেকে ৪৪ লক্ষ বছর আগে।
↓
Australopithecus
afarensis এর
উদ্ভব (যাদের মস্তিষ্ক ৩৮০-৪৩০ ঘন সে.মি., আধুনিক মানুষের চেয়ে শারিরীক আকারে বড়;
গর্ভাবস্হায়ও হাঁটতে পারত) ৩৬লক্ষ বছর আগে।
↓
Australopithecines এর আগমন ৩০লক্ষ বছর
পূর্বে। যারা সম্পূর্ণ দ্বিপদী। দেহে পশম অনেক কম ছিল।
মানুষের সাথে
অন্যান্য বানর জাতীয় প্রাণির অস্থির গঠনের তুলনমূলক চিত্র
৪। পশুর রাজ্য
ছেড়ে এলাম-
Homo habilis এর আবির্ভাব ঘটে ২৫
লক্ষ বছর পূর্বে। সর্বপ্রথম পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শেখে ।
↓
A reconstruction of Homo
erectus
Homo erectus এর পৃথিবীতে আগমন
ঘটে ১৮ লক্ষ বছর আগে। যাদের মস্তিষ্ক ছিল মানুষের তুলনায় ৭৪%। মানুষের সাথে
বিস্ময়কর মিল। হেঁটে অনেক দূর যেতে পারে, দেহে লোম কম, ঢালু কপাল যুক্ত।
↓
Homo
antecessor এর
উদ্ভব হয় ১২ লক্ষ বছর আগে। যাদের প্রায় ২০০০০-২৫০০০ জিনের সাথে মানুষের জিনের মিল
রয়েছে। এই প্রজাতিটি আধুনিক মানুষ এবং নিয়ার্ডাথাল মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ।
↓
A reconstruction of Homo heidelbergensis
Homo
heidelbergenesis দের
দেখা যেত ৬ লক্ষ বছর আগে। মানুষের মস্তিষ্কের আকারের তুলনায় ৯৩%।
↓
Homo sapiens sapiens
Homo sapiens
sapiens এর
উদ্ভব হয় এখন থেকে ২ লক্ষ বছর আগে। যা আধুনিক মানুষের (fossil evidence )
জীবশ্মের সাক্ষ্য বা প্রমাণ
।
↓
Mitochondrial
Eve ১.৫ লক্ষ বছর আগের পূর্ব আফ্রিকায় দেখা যায়। এদের
মাইটোকন্ড্রিয়ার ডি.এন.এর সাথে পৃথিবীর সব মানুষের মাইটোকন্ড্রিয়ার ডি.এন.এ.-র মিল
রয়েছে।
↓
Y-chromosomal
Adam এর দেখা মেলে। যার Y-chromosome
–এর সাথে বর্তমান পৃথিবীর সব পুরুষের
Y-chromosome এর
মিল রয়েছে। ১.৪২লক্ষ
থেকে ৬০হাজার বছর আগে এদের দেখা পাওয়া যায়।
৫। মানুষ হিসেবে নতুন লড়াই-
Ø
এখন থেকে প্রায় ৬০ হাজার
বছর আগে মানুষ তাদের প্রথম জন্মস্থান আফ্রিকা থেকে বের হয়ে আসে ( migration)
এবং পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে।
Ø
৫০ হাজার বছর আগে মানুষ
দক্ষিণ এশিয়ায় এসে পৌঁছে।
Ø
৪০ হাজার বছর আগে মানুষ
অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে পৌঁছে। যাদের Cro-Magnon
বলা হয়।
Ø
১২ হাজার বছর আগে মানুষ
আমেরিকা গিয়ে পৌঁছে ইউরোপিয়দের চামড়া উজ্জল হতে থাকে এবং Homo sapiens ব্যতীত Homo গণ
ভুক্ত অন্যান্য সব প্রজাতি বিলুপ্ত হয়।
Ø
৬ হাজার বছর আগে মানুষ
প্রথম (সুমেরীয়, মেসোপটেমিয়া) সভ্যতার পত্তন করে।
তাই আমরা বলতে পারি সব
প্রাণিরই উৎপত্তি স্থল একই। তবে নির্দিষ্ট সময়ে এসে এরা বিভক্ত হয়ে গেছে। তবুও সব
প্রাণির চেয়ে আমরা নিজেদের আলদা এবং উন্নত দাবি করতেই পারি। কারণ প্রকৃতি আমাদের
দিয়েছে মনুষ্যত্ব যা আর অন্য কোন প্রাণির নেই। তাই মানুষ হিসেবে অন্যান্য প্রাণিকে
আমরা হেলা করতে পারি না।
ওদেরকে রক্ষা করার এবং ভালোবাসার
দায়িত্ব আমাদেরই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন