শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১২

রাজনীতি ভূত- কবিতা ( ০৫.১০.২০১২)




         রাজনীতি ভূত
“রাজনীতি ভূত’’ নাম নিয়ে ভাই শুরু করলাম ছড়া
এই দেশে সব কীর্তি গুলো “রাজনীতি ভূত’’ গড়া
সইতে এত না পেরে ভূত হাত পা ছুড়ে শেষে,
কঙ্কাল রাম সভাপতি বলল জোড়ে কেশে
শোনো শোনো ভূত জগতের আছো ভূতং যতো,
ঢের সয়েছি, আর পারি না, আর সইব কতো?
যে সব কাজ করব মোরা করছে টেটন মানুষ,
যে করে হোক আনতে হবে টেটন গুলির হুঁশ।
ভূতের দেশের আন্দোলনও হবে ভূতের মতো,
চারদিকে সব ছড়িয়ে পরো লক্ষ-হাজার-শত।
“রাজনীতি ভূত” দেখবে যত ধরবে তাদের চেপে,
তার আগে ওর ঘাড়ের বহর দেখবে ফিতেয় মেপে।
কত আছে জোড় ঘাড়ে তার কত আছে শক্তি,
ধরবে ঠেসে এমন জোড়ে সহজে নেই মুক্তি।
বাপ-মা বলে যখন দেবে বহুত জোড়ে চিল্লানি,
রক্ত উঠে লাল হলো কি দুমসো মোটা মুখখানি?
লাল,নীল আর কালোর সাথে আছে শ্যাওড়া রাম,
পাপ করে কেউ পার পায় না দিতে হবে দাম।
হয় জীবনটা নয়ত সাজা সবই ভূতের কাজ,
ছেড়ে তোমায় দিতেই হবে রাজনীতি ভূত আজ।

রক্ত- কবিতা ( ০৫.১০.২০১২)



       

      রক্ত

রক্তের ধারা রুধবে কিসে?
বুকের রক্তে এক নিমেষে!
রক্তের ঋণ শুধবে বিষে!
রক্ত কাতর কোন আশিষে?

বন্ধুত্ব- কবিতা( ০৫.১০.২০১২)




         বন্ধুত্ব

যদি বন্ধু হও, হাতটা বাড়িয়ে দাও
এই হাতই হবে আমাদের মাঝে বন্ধন।
হাতে হাত রেখে চলব সারাটা জীবন।
লাল হয়ে সূর্য যখন ডুববে পশ্চিমে
তখন যেন আমাদের বন্ধুত্বের
সূর্যের শেষ আলোটুকু বিলিয়ে দিগন্তে হতে পারি নিরুদ্দেশ।
বন্ধুত্বের শেষ হাসিটুকু হেসে নেব বিদায়;
স্মৃতি হয়ে ধুলো হয়ে জেগে রবো এই মহাবিশ্বে।
হয়ত শত বর্ষী অশ্বথের ছায়া বিছানো কোনো নিরব শক্ত মাটিতে।
সুখে-দুখে, ভাঙা-গড়ায় চলব একই সাথে।
যদি বন্ধু হও হাতটা বাড়িয়ে দাও
বন্ধু তোমারই সাথে নেব শেষ বিদায়।

বন্ধু- কবিতা (০৫.১০.২০১২)






বন্ধু
বন্ধু তুমি বলেই তো তোমায় আমায় মিল,
তাই শুনে কি উঠল ডেকে সমুদ্রে গাঙচিল?
মন না মিলে বন্ধু কি হয়? একই পথে চলা?
অথবা কি হয় কখনও গোপন কথা বলা?
এই কথাটি বলি যখন হেসেই তুমি খুন,
একটি বারও ভাবলে নাকো তাম্বুলেতে চুন
যুক্তি দিয়ে চিন্তা কর তবেই বন্ধু পাকা,
নইলে আমি হেসেই চলি, বুঝলে কিছু বোকা?
সব শেষে এক প্রশ্ন শুধাই বল যদি সাধ্য,
বন্ধু তবে কাকে বলি? মধুর ঢোলের বাদ্য।

প্রেম কাব্য- কবিতা ( ০৫.০৯.২০১২)



প্রেম কাব্য
একোন     ভালোবাসার পাগলামিতে মেতেছে এ প্রাণটা‍!
 যেন      রাধা কৃষ্ণ চলছে গেয়ে ভালোবাসার গানটা।
 তাই      প্রেম দেবতার চরণ তলে সঁপে দিলাম কায়া,
 শুন্য      এই মরুতে চাই তোমারই ভালোবাসার ছায়া।
  হঠাৎ     প্রলয় দোলা প্রাণের ভেতর; বাজছে মধুর বাঁশি,
  প্রিয়ে     থরো থরো কাঁপছে হৃদয় দেখে তোমার হাসি।
  এ      ঝড় শুধু থামবে তখন, তোমার পরশ পেলে,
           তাইতো    হৃদয় মাঝে যখন তুমি হঠাৎ চুপি এলে
            যেন     হৃদয়ে সব চঞ্চলতা ফুটল গোলাপ হয়ে,
আবার    ভালোবাসার মিষ্টি হাওয়া যায় হৃদয়ে বয়ে।
মোদের     হৃদয় দুটি এক হয়ে পায় প্রেম দেবতার বর,
অবাক       প্রেম বিলাসে উঠল ভরে বিশ্ব চরাচর