মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪

ভুল দাম্পত্য-কবিতা (০৬.০৫.২০১৪)



ভুল দাম্পত্য



রাতের অভিসার চলছে এখন।
শহরে অট্টালিকায় বাসকরা সুঠাম দেহের নারী গুলোর
উন্মুক্ত স্তন কামাতুর পুরুষ গুলোর হাতের ছোঁয়ায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
স্থূল দেহী নারী গুলো সারাদিন দেহশৈলি দেখিয়ে বেড়ায় এদিক ওদিক
 আর রাতে এসে নিজেকে বিছানায় উজাড় করে দেয়।
দুজনের রতির তালে তালে ডিম লাইটের মৃদু আলোয়
বেরিয়ে আসে প্রচণ্ড শীৎকার আর গোঙানি।
চরম তৃপ্তি শেষে পুরুষটি নারীর দেহে এলিয়ে পরে থাকে কতক্ষণ।
হুস হতেই পুরুষটি নারীর দেহ থেকে গড়িয়ে নেমে আসে পুষে রাখা ঘৃণার এক অনুভূতি নিয়ে; কারণ যৌনতাই সব।
ওরা জানে, কেউ কাউকে ভালোবাসে না ওরা
শুধু চায় ক্ষুধা নিবারণ, যৌন ক্ষুধা নিবারণ।
পোষা দুধেল গাইয়ের মতো মহিলাটিকে পালে টাকা ওয়ালা পুরুষটি
আর মহিলা তো টাকা দেখেই ওর সাথে এসেছে।
মন তার চাই না, টাকা চাই টাকা।
ধুর দুপয়সার মন দিয়ে কি হয়;
পেটের ক্ষুধা মেটে না ভালো গাড়ি চড়া যায়। খালি মিষ্টি মিষ্টি কথা।
ওগুলো নাটক নভেলে মানায়
বাস্তব জীবনে ওসবের কোনো দরকার হয় না।
নাটক নভেলে মাঝে মধ্যে জীবনের প্রকৃত প্রেমের প্রয়োজন,
নরনারীর প্রেমময় সম্পর্ক নিয়ে বহু জ্ঞান বিতরণ চলে।
উত্তর একটাই ওইসব ভাবালুতা, বাস্তবতা নয়। ওসব জ্ঞানীদের চিন্তার ব্যাপার।
জীবনে দরকার টাকা, গাড়ি, ভালো খাবার,
পশুর মতো যৌনতা আর বহু দামের পোষাক জড়ানো স্থূল একটা দেহ।
ব্যাস সব ঠিক।

বয়স যখন বেড়ে চলে তখন যৌনতা দেহ থেকে মুছে যেতে থাকে।
নারীর শেষ ডিম্বাশয়ও ঋতু চক্রের আবর্তে রক্ত হয়ে বেরিয়ে যায়
আর পুরুষের শেষ বীর্যটুকু প্রস্রাবের সাথে ধুয়ে পয়প্রণালীতে চলে যায়।
তারপর, তারপর কি?
বয়স্ক দুটি ন্যুব্জ দেহ, পাকা চুল, শরীরের কুঁচকে যাওয়া চামড়া,
পরস্পরকে ঘৃণা করা বহু পুরোনো দুটি মন, অন্তঃসার শূন্য পেরিয়ে আসা দীর্ঘ জীবন
আর সামনে পরে থাকা অপ্র্রয়োজনীয় একটি ভবিষ্যত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন