মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪

হাল ফ্যাশন এবং প্রেমের বাতিক- ছড়া ( ০৬.০৫.২০১৪)





হাল ফ্যাশন এবং প্রেমের বাতিক


কোথায় যাবো কি যে করি কেমন করে কি যে
বুঝতে বাছা এমন ফাঁদে পরতে যদি নিজে।
লম্ফ ঝম্ফ সঙসাজা আর পোষাক পরিপাটি
এসব ছাড়া জীবন হতো গোবর গোলা মাটি।
নিকুচি ওই নীতি বিদ্যার গবেট গরু ছাগল
সন্ধ্যা রাতেও চোখ ঢাকতো কালো রঙের গগল।
বিদেশ হতে আমদানী ভাব, নামদানী সব ঢং
সার্কাসে সব খেদিয়ে দেয়া চোগা পরা সঙ।
শার্ট গুঁজে দাও পেটের ভেতর পাজামাটার নিচে
তারপরে প্যান্ট বাঁধতে হবে কোমরবন্ধ খিচেঁ।
পায়ে মোজা পা ঢাকা সু চকচকে রঙ করা
হাঁটতে হবে খটাশ খটাশ কাঁপিয়ে দিয়ে ধরা।
চুলে মেরে থকথকে অপঃ কি যেন ছাই নামটা
ওরে মলেম জেল বলে সব দেখতো কত দামটা!
হাত তুলে তার বগল গলে ঘ্রাণের বাষ্প মারে
বোটকা পাঁঠার এমন সুবাস কেমনে বুঝাই কারে।
ব্যাটা মানুষ কিসব মাখে মুখে ঘষে ঘষে
গলায় দড়ি বাঁধতে হবে এসব হবার শেষে।
হয়ত ছাগল নয়ত পাঁঠা নাকি কালো খাসি
আঠা দিয়ে সেঁটিয়ে দিল ছ্যাবলা মারা হাসি।
হাসি তো নয় ছাগল ডাকা মুখের মতো ভাব
সে হলো সব লোকের সেরা সকল জনের বাপ।
এরেই নাকি ফ্যাশন বলে এটাই যুগের হাওয়া
চপ কাঠিতে একটা একটা ভাতের দানা খাওয়া।
শর্মা গিরিল জানলা ভাজা কাবাব বিরয়ানী
মোরগ পোলাও কাচ্চি টিকা দইয়ের বোরহানি।
পাইপ দিয়ে খায় ঠাণ্ডা কফি কে কবে হায় জানতো
কোমল পানির এমন মজা বোতল ভরে আনতো।
এতো গেলো খাবার বাতিক আরো বাতিক আছে
প্রেমের বাতিক পয়লা বাতিক জন্মে যেন চাষে।
ধান যেমনটা বিঘে প্রতি বিশ কুড়ি মণ হয়
তেমনি ধারা জন প্রতিতে কুড়ির নিচে নয়।
সকাল দুপুর সন্ধ্যে বেলা ডেটিং বোধহয় বলে
৭দিনে তার ২১দফা দাবি আদায় চলে।
উদ্যানে আর পার্কে পার্কে দফায় দফায় দাবি
তালা মেরে ছেড়ে দিলেও ফ্যাশনটা হয় চাবি।
লাইলিরে সে কথা দিয়ে ভুল করে খায় মিষ্টি
সিডিউল তার আউলে উঠে কি যে অনাসৃষ্টি।
ট্রেনের মত ফেঁসে যায় ডেটিং ক্রমধারায়
টুনটুনি বা ময়না টিয়া বাসার নিচে দাঁড়ায়।
চেঁচিয়ে বলে হারামজাদা আমায় নিয়ে মজা
জুতো পেটা করবো তোকে হয়ে যাবি সোজা।
বুলবুলি আর কাজলি পাখি সাধের কবুতর
একসাথে সেই বাসার নিচে ছেলের আছে জ্বর।
এ বলে ও আমার প্রেমিক ও বলে ওর জান
টুনটুনি তাই শুনে বলে বুক করে আনচান।
চুলোচুলি শুরু করে কাগে-বগে যুদ্ধ
নায়ক এখন পালিয়ে বেড়ায় জনাব সাধু শুদ্ধ।
তবুো নায়ক প্রেম ছাড়ে না চলতে থাকে তালে
মাঝে মাঝে জুতোও খায় পালিশ করা গালে।
মানির মান পাহাড় সম যায়না জুতো পেটায়
ছাগল যেমন বাঁধা থাকে লম্বা দড়ির খোঁটায়।
নায়ক বাবু কেমনে তাহার প্রেম ছাড়িতে পারে
ভাবুন পাঠক প্রেমের বাতিক কেমনে তারে ছাড়ে।

গোঁফ বিসর্জন- ছড়া (০৬.০৫.২০১৪)





গোঁফ বিসর্জন


গোঁফের বাড়ি গোফেঁর ঘর গোঁফের সংসার
গোঁফের ওপর এমন খড়গ এমন অনাচার।
এমনে শখের গোঁফ জোড়া হায় হলো বলিদান
দুঃখ ক্ষোভ আর বিষাদ ভরা একটু অভিমান।
রবি বাবু দ্বিতীয় সীতা করল বিসর্জন
তেমনি কবি অরূপ করে গোঁফ জোড়া বর্জন।
চার্লি সাহেব, হিটলারী আর স্তালিনের গোঁফ
গোঁফ কি রাখেন ভ্যাটিকেনের শ্রদ্ধাভাজন পোপ!
মার্কটোয়েন আর হোচিমিনের গোঁফটা এমন শখের
গোঁফ চাঁচা তাই সত্যি কথা বড্ড বেশি দুখের।
রবি বাবুর গোঁফের তোড়ে মুখটা ছিল ঢাকা
চেঙিসেরো গোঁফ ছিল ভাই ঠোঁটের ওপর বাঁকা।
ফরাসীরা গোঁফ রাখে সব জাঁদরেলি কয় তারে
কেমনে বুঝাই গোঁফ ছাড়া কেউ মহাপুরুষ নারে।
গুপ্ত কবির গোঁফটা ছিল কেমন তুলোর মতন
সকাল বিকাল করত পালিশ করত কত যতন।
লুথার কিংয়ের সরু গোঁফ আর কুবলা খানের চারটা
এডিসনের গোঁফ দিয়ে হয় বিজলি বাতির তারটা।
এতো গেলো মানুষ গুফো এবার বলি প্রাণি
গোঁফ ছাড়া কি বিড়াল হবে দেখাও দেখি আনি।
টেংরা, বোয়াল, পাংগাশ আর লম্বা গুঁফো শিঙ্গী
বাঘ, ভোদর আর বনের রাজা গুম্ফোধারী সিংগী।
হাতির এমন বাতিক হলো রাখতে হবে মোচ
হাতি কোথায় গজধারী সিল ব্যাপারটা ভাই সোচ।
তাইতে বলি যা করো ভাই গোঁফ চাঁচা ঠিক নয়
গোঁফ না হলে খুব সহজে বিখ্যাত কেউ হয়।

ভুল দাম্পত্য-কবিতা (০৬.০৫.২০১৪)



ভুল দাম্পত্য



রাতের অভিসার চলছে এখন।
শহরে অট্টালিকায় বাসকরা সুঠাম দেহের নারী গুলোর
উন্মুক্ত স্তন কামাতুর পুরুষ গুলোর হাতের ছোঁয়ায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
স্থূল দেহী নারী গুলো সারাদিন দেহশৈলি দেখিয়ে বেড়ায় এদিক ওদিক
 আর রাতে এসে নিজেকে বিছানায় উজাড় করে দেয়।
দুজনের রতির তালে তালে ডিম লাইটের মৃদু আলোয়
বেরিয়ে আসে প্রচণ্ড শীৎকার আর গোঙানি।
চরম তৃপ্তি শেষে পুরুষটি নারীর দেহে এলিয়ে পরে থাকে কতক্ষণ।
হুস হতেই পুরুষটি নারীর দেহ থেকে গড়িয়ে নেমে আসে পুষে রাখা ঘৃণার এক অনুভূতি নিয়ে; কারণ যৌনতাই সব।
ওরা জানে, কেউ কাউকে ভালোবাসে না ওরা
শুধু চায় ক্ষুধা নিবারণ, যৌন ক্ষুধা নিবারণ।
পোষা দুধেল গাইয়ের মতো মহিলাটিকে পালে টাকা ওয়ালা পুরুষটি
আর মহিলা তো টাকা দেখেই ওর সাথে এসেছে।
মন তার চাই না, টাকা চাই টাকা।
ধুর দুপয়সার মন দিয়ে কি হয়;
পেটের ক্ষুধা মেটে না ভালো গাড়ি চড়া যায়। খালি মিষ্টি মিষ্টি কথা।
ওগুলো নাটক নভেলে মানায়
বাস্তব জীবনে ওসবের কোনো দরকার হয় না।
নাটক নভেলে মাঝে মধ্যে জীবনের প্রকৃত প্রেমের প্রয়োজন,
নরনারীর প্রেমময় সম্পর্ক নিয়ে বহু জ্ঞান বিতরণ চলে।
উত্তর একটাই ওইসব ভাবালুতা, বাস্তবতা নয়। ওসব জ্ঞানীদের চিন্তার ব্যাপার।
জীবনে দরকার টাকা, গাড়ি, ভালো খাবার,
পশুর মতো যৌনতা আর বহু দামের পোষাক জড়ানো স্থূল একটা দেহ।
ব্যাস সব ঠিক।

বয়স যখন বেড়ে চলে তখন যৌনতা দেহ থেকে মুছে যেতে থাকে।
নারীর শেষ ডিম্বাশয়ও ঋতু চক্রের আবর্তে রক্ত হয়ে বেরিয়ে যায়
আর পুরুষের শেষ বীর্যটুকু প্রস্রাবের সাথে ধুয়ে পয়প্রণালীতে চলে যায়।
তারপর, তারপর কি?
বয়স্ক দুটি ন্যুব্জ দেহ, পাকা চুল, শরীরের কুঁচকে যাওয়া চামড়া,
পরস্পরকে ঘৃণা করা বহু পুরোনো দুটি মন, অন্তঃসার শূন্য পেরিয়ে আসা দীর্ঘ জীবন
আর সামনে পরে থাকা অপ্র্রয়োজনীয় একটি ভবিষ্যত।

XNA ( Science based Feature)- 06.05.2014





XNA
আমাদের হয়তো জীবের গঠন প্রকৃতি, উদ্ভব, বিবর্তন এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। জীবের সামগ্রিক তথ্য সংরক্ষণ এবং সঞ্চালরেন জন্য DNA এবং RNA হল একমাত্র অবলম্বন এ ধারণ বদলানোর সময় হয়তো চলে এসেছে। Phillpp Holliger এবং Vitor Pinheiro-র নেতৃত্বে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনাল রিসার্স কাউন্সিল ল্যাবরেটরির একদল গবেষক “সায়েন্স” ম্যাগাজিনে তাঁদের নতুন গবেষণা প্রবন্ধে এমনই আভাস দিয়েছেন। গবেষক দলটি DNA এবং RNA-র মতো কমপক্ষে আরো ৬টি ভিন্ন ধরনের নিউক্লিক এসিড অণু কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যাদের একত্রে নাম দেয়া হয়েছে XNA (Xeno Nucleic Acid)। গ্রীক শব্দ Xeno-র অর্থ হলো বিদেশি বা বহিরাগত।
XNA অনু ৬টি হলো- ANA, FANA, LNA, HNA, TNA, CeNA.
ANA- Arabino Nucleic Acid
FANA- Fluroarabino Nucleic Acid
LNA- Locked Nucleic Acid
HNA- Hexitol Nucleic Acid
TNA-Threose Nucleic Acid
CeNA- Cyclohexene Nucleic Acid

ওপরের নামগুলো থেকে আমারা বুঝতে পারছি কৃত্রিম এইসবা নিউক্লিক এসিড অণু গুলোর গঠনগত দিকে পরস্পরের মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। কোনটায় রয়েছে এরাবিনোজ, কোনটায় ফ্লুরোএরাবিনোজ, থ্রিওজ কিংবা স্লাইক্লোহেক্সেন। যা কিনা আমাদের চারপাশের পরিচিত DNA এবং RNA থেকে ভিন্ন।

Holliger এবং Pinheiro-র দল প্রথমে ঠিক করলেন তাঁরা XNA Synthesis (সংশ্লেষ) করার জন্য একটি উপযোগি লাইগেজ এনজাইম তৈরি করবেন। যদিও এর আগেই তাঁরা XNA মেশিনে সংশ্লেষ করতে সক্ষম হয়েছিলেন কিন্তু সেই টুকরো গুলো হতো ছোট ছোট। স্বভাবিক DNA এর মতো অতোটা কর্মক্ষম এবং উপযোগি হতো না। তাই প্রথমে তাঁরা হাজারো রকম এনজাইমকে XNA সংশ্লেষের উপকরণের সাথে মেশালেন যার সাথে XNA সংশ্লেষের ছাঁচ  (Templet)  হিসেবে দিলেন DNA। যেসব এনজাইম XNA সংশ্লেষের জন্য সুবিধাজনক বলে দেখা গেলো সেগুলো পরিস্রুত ( Filter) করে পৃথক করে নেয়া হলো। এনজাইম গুলো কে বিবর্ধিত (Amplifide) করে দ্বিতীয় বার পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করা হলো। এরকম অনেকবার পরিশ্রুতিকরণ এবং পরীক্ষণের পর DNA কে XNA তে রূপান্তরিত করবার একটি ভালো এনজাইম তাঁরা পেলেন যাকিনা মেশিনে সংশ্লেষিত ছোট XNA এর চেয়ে পাঁচগুণ বড় XNA সংশ্লেষ করতে পারে। একই পদ্ধতিতে গবেষক দল আরো একটি এনজাইম তৈরি করলেন যা XNA কে পুনরায় DNA তে রূপান্তর করতে পারে।

ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুসারে “ প্রাকৃতিক নির্বাচন” ( Natural Selection) পদ্ধতি উন্নতদের টিকিয়ে রেখে দেবে আর বাকিরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যদি প্রণিদের DNA (Replication) অনুলিপনের সময় জিনের (Gene) মধ্যে এমন পরিবর্তন হয় যা প্রাণিটির জন্য ক্ষতিকর (Harmfull mutation of gene)  তবে তা প্রাণিটির টিকে থাকার জন্য হুমকি স্বরূপ হবে। আর যদি পরিবর্তনটি প্রাণিটিকে প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেবার জন্য সুবিধা তৈরি করে দেয় তবে তা প্রাণিটিকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। টিকে থাকার প্রশ্নে অভিযোজন ( Adaptation)  নির্ভর করে প্রাণিটি তার পূর্বসূরীর জিনের কতটা হুবহু পেল এবং ঠিক কতটা পরিবর্তিত হয়ে অভিযোজনের জন্য উপযোগী হলো।Holliger এবং Pinheiro এবং তার দল দেখলেন তাঁদের সংশ্লেষিত নতুন নিউক্লিক এসিড অণূ গুলো অনুলিপনের পর ৯৫% এমনকি CeNA অণু ৯৯.৬% তথ্য হুবুহু রাখতে সক্ষম হয়েছে যা প্রমাণ করে এই অণুগুলো ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুসারে পৃথিবীতে টিকে থাকার প্রশ্নে এগিয়ে থাকবে।


ডাক্তাররা ইতমধ্যে এন্টিবডি ও এনজাইম এর মতো জৈবিক পণ্য (Biological product) চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে সমাধান হিসেবে লিখতে শুরু করেছেন। যেমন- ক্যান্সারের জন্য Avastin এবং অটো ইমিউনি ডিজিজের জন্য Humira খুব জনপ্রিয় থেরাপি হিসেবে প্রচলিত। কিন্তু সমস্যা হল এসব ঔষধ পাকস্থলি ও রক্তের মধ্যে নিউক্লিয়েজ এনজাইমের প্রভাবে খুব দ্রুত ভেঙে যায় কিংবা বিপাক হয়ে যায় যা এসব ঔষধের পূর্ণ উপযোগিতাকে হ্রাস করে দেয়। XNA-র আবিষ্কার এই সমস্যার সমাধানে্র এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে বলে Holliger এবং Pinheiro মনে করেন। XNA অণুগুলো প্রাণিদেহে অবস্থিত সাধারণ নিউক্লিয়েজ দিয়ে খুব সহজে ভেঙে যায় না কিংবা বিপাকও (digest) হয়ে যায় না। ফলে DNA-RNA-র পরিবর্তে রোগ চিকিৎসায় থেরাপি হিসেবে XNA ই হতে পারে এমন একটি কৃত্রিম সত্ত্বা যা রোগ সৃষ্টিকারী প্রোটিন অণুদের বাধা দেবে এবং প্রয়োজনে তাদের সাথে দৃঢ় ভাবে যুক্ত হয়ে ধ্বংসের রাস্তা উন্মুক্ত করবে কিন্তু নিজে প্রাণির শরীরের এনজাইম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস হবে না।
XNA অণুর তথ্য ধারণ ক্ষমতা, অনুলিপন ক্ষমতা (Replication) এবং অভিব্যক্তি (Expression) DNA অণুর মতোই। ফলে DNA অণুর একাধিপত্য সম্পর্কে হয়ত নতুন করে ভাবনার উদ্রেক করবে। এমন প্রশ্ন আসাও অসম্ভব নয় যে-“ জীব ও জীবনের জন্য DNA এবং RNA অণুই কি সবচেয়ে সুবিধা জনক?”
জীবের জীবনের সামগ্রিক নিয়্ন্ত্রক হিসেবে বিজ্ঞানীরা হয়ত পরীক্ষামূলক ভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন। প্রচলিত স্বভাবিক জীবের বিকল্প কৃত্রিম জীবন XNA নির্ভর করে তৈরি করতে XNA কে এমন রূপে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে XNA নিজেই নিজেকে অনুলিপন করতে পারে। Pinheiro বলেছেন- XNA নির্ভর কোষের সবচেয়ে সাধারণ একটি কার্যক্ষম ব্যবস্থা (System) তৈরি করাও বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই কঠিন একটি কাজ হবে। কারণ কোষটিতে XNA-র স্বয়ংক্রিয় অনুলিপন, বিবর্তন, অভিব্যক্তি এবং টিকে থাকার ক্ষমতা থাকতে হবে।
এমন যদি হয় XNA যদি গবেষণাগার থেকে প্রকৃতিতে ছাড়া পায় তবে কি তা স্বাভাবিক প্রাণি জগতের কোনো ক্ষতি করবে? এটা কি স্বাভাবিক নিউক্লিক এসিডকে প্রতিস্থাপিত করে নিজে তার জায়গা দখল করে নেবে? কিংবা এর মধ্যে এমন কোন ক্ষতি লুকিয়ে নেইতে যা প্রাণি জগতের অস্তিত্ত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ?
না, XNA প্রকৃতিতে যদি মুক্তও হয় তবে তা প্রকৃতিতে তার আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না; কারণ XNA এখনো স্বয়ংক্রিয় ভাবে DNA-র মতো  অনুলিপি তৈরি করতে অক্ষম। ফলে XNA প্রচলিত স্বাভাবিক প্রাণি জগতের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। অন্তত বর্তমানে যতখানি এর উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে এই অবস্থায় না।

অদূর ভবিষ্যতে XNA কে জীব কোষের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে দেখতে পাব যা হয়তো DNA এবং RNA-র চেয়ে আরো স্থায়ী ও নির্ভর যোগ্য হবে। বিজ্ঞানীদের আরো কিছুটা সময় শ্রম ও গবেষণার দরকার হবে XNA কে একটি সফল কোষ ব্যবস্থার ভেতর দাঁড় করাত্ তবে তা একদম অসম্ভব নয়।


পরিভাষা- Terminology
সংশ্লেষ- Synthesis
অনুলিপন- Replication
ব্যবস্থা- System
অভিযোজন- Adaptation
প্রাকৃতিক নির্বাচন- Natural Selection
বিবর্তন- Evolution
বিদেশি- Xeno
পরিশ্রুতকরণ- Filtration
বিবর্ধন-Amplification
ছাঁচ- Template  
বিপাক-Digest