শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৩

ছেঁড়া চিঠি (কবিতা-১২.০৭.১৩)



ছেঁড়া চিঠি


ছেঁড়া চিঠি উড়িয়ে দিলেম বনে,
তোমার কথা আবোল তাবোল ভাবছি মনে মনে।
হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ছে ছেঁড়া চিঠি;
তোমার পানে চলছে উড়ে আমার মনের ছুটি।
দুঃখ বিলাস সয় না আমার মনে,
ছেঁড়া চিঠি উড়িয়ে দিলেম বনে।

ছেঁড়া মেঘের টুকরো গুলো ওড়ে,
আমার মনে তোমার কথাই ঘোরে;
শিশির ভেজা ঘাসের রৌদ্র ভোরে,
গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে তোমার দোরে।
তোমার কথাই মরছে ঘুরে মাতাল সমীরণে,
ছেঁড়া চিঠি উড়িয়ে দিলেম বনে।

প্রেমের সুরে আবেশ ধরা গানে,
ভালোবাসা চলছে উড়ে শুধুই তোমার পানে।
আমর সুর তোমায় খুঁজে নেবে,
সময় কাটে তোমায় তোমায় ভেবে ভেবে।
দিনের শেষে রাত্রি জাগরণে,
ছেঁড়া চিঠি উড়িয়ে দিলেম বনে।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৩

স্মৃতি (কবিতা-১১.০৭.১৩)






স্মৃতি


স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে রয় কত না স্মৃতির  রেখা,
সুখ গুলো সব স্বপ্ন ছিলো দুখেরা অশ্রু লেখা।
স্মৃতির শিয়রে সাজিয়ে নিলাম সুখদুখ কবিতায়,
সুখ গুলো সব বিলিয়ে দিলাম দুখ রেখে নিরালায়।

শেষ বিকেরের সেই বেলাটুকু যেটুকু তোমার দান,
শুধু ভালোবাসা নয় ছিলো মিথ্যে অভিমান।
আমার বুকের পাশটি ঘেঁষে বলেছিলে ভালোবাসি,
নয়নে তোমার অশ্রু ছিল অধরে ‍নিটোল হাসি।

তারপর কত বছর, কতটা সময় গিয়েছে কেটে,
কতটা পথ গিয়েছি পেরিয়ে জীবনের পথে হেঁটে।
সারাটা জীবন যেমন বলেছি বলে যাব হেসে হেসে,
ভালোবাসি তোমায়, ভালোবেসে যাব জীবন বেলার শেষে।


দেহে আমার আদিম গন্ধ (কবিতা-১১.০৭.১৩)





দেহে আমার আদিম গন্ধ

দেহে আমার আদিম গন্ধ;
রক্তে আমার পূর্ব পুরুষের পৈশাচিকতা লুকিয়ে রেখেছি।
অনেক কষ্টে হাজার বছরের চেষ্টায়
আমি ও আমার সমসাময়িকেরা এই পৈশাচিকতাকে, এই আদিম গন্ধকে
জামার তলে বেমালুম গায়েব করে দিয়েছে।
কিন্তু আমি জানি ওগুলো একবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি।
জামা খুললেই ওগুলো দপ করে জ্বলে উঠে বেরিয়ে আসবে।
আমি জানি ওগুলো বেরিয়ে আসতে বাধ্য।
আর তখনই বাধবে গোল;
ঘটবে দুর্ধর্ষ, অসহ্য অমানবিক ঘটনা।

তাই আমি ধিক্কার দেই সেই সব মানুষকে
যারা পৈশাচিকতাকে নিশ্চিহ্ন না করে
মানবতার ধ্বজা ওড়ানোর চেষ্টা করে
মানবতার গালভরা জয়গান করে মুখের নিচের অংশ লালায় ভর্তি করে ফেলে।