শ্রাবণী
আমি কবি ছিলাম না, কবি হতে চাইও নি, কিন্তু বিলের পাশেবর্ষার আকাশে মেঘেরা যখন ভাসে
তখন হঠাৎ তোমর সাথে দেখা। চিন্তিত মুখে
তোমার একটি নাম খুঁজতে থাকি। চারদিকে চোখে
পরার মতো কোনো নাম দেখিনা, অন্তত যা দিয়ে এক কথায়
তোমাকে প্রকাশ করা যায়।
তোমার চোখের দিক যখন তাকাই তখন মনে হয় বিলের জলে
পানকৌরির খেলা কিংবা সৌন্দর্য যেন কথা বলে।
তোমার গোলাপি আভার ঠোঁটের দিকে যখন দেখি
তখন মনে হয় একি
স্বর্গীয় সৌন্দর্যের দেবী, নাকি সৌন্দর্য পসারিণী?
তোমায় যিনি
রং-তুলি দিয়ে এঁকেছিলেন তিনি নিজেও হয়ত জানেন না তোমায় কতখানি
সুন্দর করে এঁকেছিলেন। তবে আমি জানি।
তাই তোমার নাম দিলাম জংলী বেলি,
নাকি জলকেলি।
হতে পারো বসন্তের কোকিল,
না হয় বর্ষার যৌবন টলটেল বিল।
হয়ত বৌকথা-কও পাখির মেলে থাকা আঁখি,
শালিকের ঝাঁকের কিচির-মিচির; কিযে নাম রাখি?
বিকেলের রোদ্দুর নাকি মেঘ ভাঙা জল
দূর নীলাচল।
তবে সব সৌন্দর্যের আঁধার বর্ষার কাছে আমি চির ঋণী।
তোমার নাম দিলাম শ্রাবণী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন