যোগ-ভাগ
এসো................., বোসো।
বসতে তোমায় নয়ন ভাঙা কান্না দেবো।
আামার দুখের ভাগও দেবো,
অমাবস্যার আঁধার দেবো, কাঠ ফাঁটা রোদ, বুক ফাঁটা মাঠ,
ধুতুরা ফুলের গন্ধ দেবো।
আর কি নেবে বলো?
পোড়ো বাড়ির খাঁ খাঁ করা শূন্যতা নেবে?
কিংবা বেতাল নদীর পার ভাঙা ঢেউ, শোঁ শোঁ করা তীক্ষ্ম স্বরের বাতাস?
পুত্র হারা মায়ের বুকের ফেনিয়ে ওঠা চাপা কান্না,
রাত্রি ভর মরা খেকো হায়েনা গুলির
নাক উঁচু করা জ্বলজ্বলে হিংস্র দৃষ্টি কিংবা বুক কাঁপানো, তাচ্ছিল্য ভরা
বিদঘুটে হাসি?
ওই দেখো, তোমার জন্য শেয়ালগুলো অর্ধগলিত, সদ্য কবর দেয়া
উৎকট গন্ধ যুক্ত লাশগুলো তুলে এনেছে।
চাইলে কোনো সরু প্রবাহিনীর চোর স্রোতে ভেসে যাওয়া
মৃত গরু গুলির ওপর বসে থাকা কালো তিক্ষ্ম চঞ্চু কাকও এনে দিতে পারি।
ভেবে পাইনে শকুনগুলি কোথায় হারিয়ে গেলো !
থাকলে ওই লাশ খেকো শকুনগুলিও তোমায় দিতাম।
আর কিছু চাই বলো?
আঁধার রাতে ভীষণ গহীনের জমে থাকা আদিম ভীতি গুলোর
জায়গা হচ্ছে না কোথাও।
চাই নাকি কিছুটা সেখানকার?
নিযুত-কোটি ভুখা-নাঙ্গার দুহাত তোলা অভিশাপ তো রয়েই গেলো।
দুরারোগ্য কষ্ট দেয়া রোগগুলো শরীর খুঁজছে,
ওই ভিখিরী গুলোর রক্ত খেতে খেতে সব ফুরিয়ে গেছে;
তাই নতুন
দেহ দরকার।
মানুষের হৃদয়ে বয়ে যাওয়া দুখের ফল্গুধারার খোঁজ কেউ রাখে না,
কেউ একটু যোগ-ভাগ করতে চায় না।
আমার ঘরে এলে এর হিস্যাও কিন্তু নিতে হবে।
নেবে না? বলো নেবে না?
বলো নেবে না?