রাতের বৃষ্টি (কবিতা) ৩১.০৩.২০১৫ইং

রাতের বৃষ্টি

রাতের আকাশের তারা গুলো জ্বলছিল তোমার হাসির মতো
একটু মুচকি একটু মৃদু। হঠাৎ চাঁদ এলে তোমার হাসি মিলিয়ে গেলো।
আবার নতুন করে ধরাদিলো অট্টহাসি হয়ে চাঁদের অবয়বে।
কলকল করে হাসলে ক্ষাণিকক্ষণ ছলছল করে প্রতিধ্বনি এলো। তারপর মেঘের আড়ালে লুকালে।
কোথায় গেলে আমি ভেবে পাাইনে।
হঠাৎ অাড়াল থেকে বেরিয়ে আমায় ডাকলে একবার উজ্জ্বল মুখে। 
আমি তাকতেই নবীন বধুর মতো দরজার আড়ালে চলে গেলে। এতো ডাকাডাকি তবুও এলে না।
তুমি বড়ই লাজুক। তবে লাজ না থাকলে চাঁদ কেন? মৃদু আলোই বা কেন?
তোমার শরীরের কোমল মেঘ গুলো তোমার অনুপস্থিতে
গাঢ় সাদা তারপর কালো হয়ে এলো। তারপর বৃষ্টি। একপশলায় অনেক খানি, অনেক ক্ষণ।
তবে কি বৃষ্টি তোমার দুঃখ নাকি তোমার লুকোনো বেদনা।
না না বেদনা নয়, দুঃখও নয়। সবই অস্পৃশ্য, সুদূর আর অব্যক্ত অভিব্যক্তি যার উত্তর 
কোনো কবিতায়, যুক্তিশাস্ত্রে, ন্যায় শাস্ত্রে, মনোবিজ্ঞানে নেই । আছে প্রেমে।

আমি মনে মনে ভাবি তবে যে রাতের বৃষ্টি?
স্বগোক্তির মতো ঠোঁটের ডগায় এসে পরে -''এ হলো প্রকৃতির খেয়াল।''
রাতের বৃষ্টিতে কি আছে?
স্বগোক্তো চলতেই থাকে..............
...................ভালোবাসার সুর, প্রেমের ধ্বনি, স্বপ্নের রঙ, বিরহের ছন্দ
আর তোমার কোমল তনুর চকিত একটা স্পর্শ।
প্রতিটি ফোঁটায় নতুন করে তোমার উপস্থিতি মনে করিয়ে দেয়,
তোমার ভালোবাসার নেশা ধরিয়ে দেয়।
সংজ্ঞা দিয়ে বাঁধন দিয়ে বাঁধা যায় না, বাঁধতে হয় প্রাণের মায়ায়।