বিমূর্ত-৩
ফুলকে প্রজাপতি ভেবেছি,আকাশ কে সমুদ্র ভেবেছি,তোমাকে অপ্সরা ভেবেছি।
কিন্তু নিজেকে চেনা হয় না কখোনো।
এই জন্যই সব কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায়।
সব কিছুই শুভ-শুভা দেখে হতো তবে সৃষ্টিকর্তা শুধুমাত্র সেই দিন গুলোই বানাতেন
আর বলতেন বনেদি সবই।
রঙের খেলা, সুরের ভিড়ে, তোমায় ঘিরে,
বিকেল বেলা, কনক মোড়া, কাকন জোড়া।
উম্....................... কি হবে তারপর।
যা বাবা ছন্দ ভুলে গেছি।
তাহলে কবি হবো কিভাবে?
না কবি হবো না; রঙ- তুলি- ইজেল- ক্যানভাস আর মনের বিশাল কল্পলোক।
একপোচ লাল দিয়ে তারপর এক পোচ নীলের ছোঁয়া,
তারপর একে এক সবুজ, হলুদ, আকাশি, গোলাপি..................................
তোমার অপূর্ব এক মূর্তি ফুটে উঠলো কিন্তু তোমায় পাওয়া হলো না।
না এসব দিয়ে তোমাকে পাওয়া হবে না।
সুর দিয়ে চেষ্টা করে দেখি।
কন্ঠ মেলে ধরলাম আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে
কিন্তু হঠাৎ মনে হলো গান বড়ো দুর্বল মাধ্যম শব্দ স্বর্গ পর্যন্ত পৈৗঁছুতে সময় লাগবে অনেক বছর।
একে এক সব লালত্যি দিয়ে তোমায় চাইলাম।
নৃত্য বড়ো অস্থির, ভাস্কর্য কথা বলে না,
নন্দনতত্ত্ব অবাস্তব, অভিনয় মিথ্যে, আবৃত্তি আবেগময়।
তোমর জন্য কিছুই নেই।
দিন যায় রাত যায়। রাত আসে দিন আসে।
কিন্তু হায় অপ্সরা কোথায় এযে মানসী; কখনো বা রক্ত মাংসে গড়া মানবী।
তোমার জন্য হৃদয় বিলিয়ে দিলাম স্বর্গে, মর্তে, ভূলোকে, দ্যুলোকে, পবনে, পাতালে।
এবার দেখি সত্যিই তুমি আমার।
তুমি আমাকে ভালোবাসো যেমনি আমিও তোময় ভালোবাসি।