ভূত দরশন
সবাই তারে ভূত বলে, আমি ডাকি “কল্পনা”,
ভূতের কথা বললে সুধায়, “তোর বানানো গল্প না?”
আমি বলি, “সত্য
কথা এক ফোঁটাও মিথ্যে না।”
সত্য হলে বল না তবে, মিথ্যে ভূতের মাথা খা।
দেখতে যেন কয়লা কালো, চোখ গুলিও ঠিকরানো,
লম্বা সরু হাত পা দেখে ভাববে বুঝি জল দানো।
পাঁজর গুলো যাচ্ছে দেখা, গুনে দেখো এক দু তিন,
বললে ভূতও নাচবে উঠে, নাচবে ঘুরে তা ধিন্ ধিন্।
খট্ খটা খট্ শব্দ হবে, হাড়ে হাড়ে বাড়ি,
মাঝে মাঝে উঠবে মাথা এদিক ওদিক নাড়ি।
তাই দেখে ভাই তোমরা সবে, বলবে একি নৃত্য!
আমি বলি বেজায় মজা, শয়তানের এ ভৃত্য।
যদি বলি খাওয়ার কথা, অবাক ভূতের রুচি,
কাঁঠাল-বড়ই, আমসত্ব, ভেলপুরি আর লুচি।
সাথে থাকে ফুচকা-কাবাব, আস্তাবলের ময়লা,
শুকনো কাঠ আর কড়ই পাতা, গোবর পোড়া কয়লা।
এবার বলি ভূতের পোষাক, বেকুব হতচ্ছাড়া
দেখতে পেলে বলবে উঠে, এক্ষুণি ভাই তাড়া।
পাতলা করে হাওয়ার বসন, পুরো শরীর ঢাকা,
দেহ তবু যাচ্ছে দেখা, পোষাক কোথায়? ফাঁকা!
হাঁটতে গেলে নড়বড়িয়ে, তড়বড়িয়ে হাঁটে,
সারাটা রাত হেঁটেই চলে, “ভূতের বেগার খাটে।’’
সব শেষে এক গোপন-নিগূঢ়-সুপ্ত কথা বলি,
কাউকে যদি বলো এ বাত, কানটি দেবো মলি।
ভূতের কাছে অঢেল টাকা, সোনা, হিরা-মানিক,
হাত-পা ধরে চাইলে তোমায় হয়তো দেবে খানিক।
তবে এক শর্ত ভূতের দেখা পাওয়া চাই,
নইলে হবে সবই বেকার, তাইরে নাইরে নাই।